কখনো নিজের কখনো অন্যর সিম ধার করে চলছে অনলাইন জুয়ার আসর। এক এক জনের লেনদেন ছাড়িয়েছে কোটির উপরে। নামে বেনামে মোবাইল ব্যাংকিং এ এজেন্টশিপ নিয়ে চলছে এমন রমরমা ব্যবসা। অনুসন্ধানে মিলেছে মেহেরপুরের একটি গ্রাম নাকি নিয়ন্ত্রণ করছে গোটা দেশের জুয়া চক্র।
এক দুই হাজার টাকা নয় মোবাইল ব্যাংকিং এ লেনদেনের পরিমাণ ছাড়িয়েছে কোটি, কোটি টাকা। কেউ খুদ্র ব্যবসায়ী কেউ সাধারণ মানুষ। অনেকে রাতারাতি বনে গেছে কোটি টাকার মালিক, তাও মেহেরপুর জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে। হটাৎ বড়লোক হয়ে যাওয়া কয়েকজনের বিষয়ে অনুসন্ধান করে হাতে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুজিবনগরে রিমটি সলিউশন নামের মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের দোকান, এই এজেন্টের সিমে এক মাসে লেনদেন হয় ৮ কোটি টাকা।
কিভাবে এলো এতো টাকা? দোকান মালিকের কাছে প্রশ্ন ছুড়তেই মুখে তালা। কিছুক্ষণ পর প্রমাণ দেখালে খোলস ছেড়ে বের হন। জানান অনলাইন জুয়ার শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার গল্প। অনুসন্ধানের জালে ধরা পড়ে কমলপুরের এক এজেন্ট। এই প্রতিষ্ঠানের বিষয় জানতে চাইলে চড়াও হয় ক্যাডার বাহিনী। শুধু এই দুটি প্রতিষ্ঠান-ই নয়, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান অনলাইনে জুয়ার সাথে জড়িত থাকার তথ্য আসে।
পুলিশ বলছে পুরো চক্রটির বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। তথ্য মিলেছে মেহেরপুর জেলার এক মাসে চারশত আটাত্তরটি মোবাইল ব্যাংকিং সিমে লেনদেন হয়েছে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। বিপরীতে মাত্র ৮৩টি সিমে লেনদেন হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।